Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান
স্থান
শুভপুর, পাঠাননগর, মাটিয়াগোদা ও ছাগলনাইয়া
কিভাবে যাওয়া যায়

ফেনী থেকে CNG/বাস দিয়ে

বিস্তারিত

চাঁদগাজী ভূঁঞা মসজিদ

ফেনীর ছাগলনাইয়া থানার বিভিন্ন স্থানে বহু প্রাচীন কীর্তি বিদ্যমান। এসব প্রচীন কীর্তির মধ্যে মসজিদ, মন্দির, ইটের নির্মিত দালান, মাজার, দীঘি, রাস্তা, পাথর, প্রাচীন বৃক্ষ অন্যতম। মোঘল ও নবাবী আমলে নির্মিত এসব প্রাচীনকীর্তির পাশাপাশি ত্রিপুরার শাসক “ভাটির বাঘ” শমসের গাজীর সময়ে নির্মিত ও প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন স্থাপত্য কীর্তিও এএলাকার গৌরব হিসাবে কালের স্বাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে। ছাগলনাইয়া থানার চাঁদগাজী এলাকা মোগল আমলে বেশ উন্নত ছিল।এখানেই রয়েছে তিনশত বছরের পুরোনো চাঁদগাজী ভূঁঞা মসজিদ।চাঁদগাজী ভূঁঞা ছিলেন মোগল আমলে ফেনীর পূবর্অঞ্চলে এক স্বনামধন্য জমিদার। জানা যায়, আঠার শতকের গোড়ার দিকেতিনি প্রথম নদী ভাঙ্গনের কারণে প্রচুর ধন-সম্পদ ও লোকলস্করসহ দুরদেশ থেকে এসে বতর্মান ছাগলনাইয়ার মাটিয়াগোধাগ্রামে বসতি স্থাপন করেন।

 

সাত মন্দির

ছাগলনাইয়ায় ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য শিল্পের নিদর্শন হিসেবে সাত মন্দির ঘোষণা করছে নিজের অস্তিত্ব।ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার পশ্চিম ছাগলনাইয়া গ্রামে এটি অবস্থিত। নিজ চোখে না দেখলে উপলব্ধিকরা যাবেনা এর অপুর্ব সৌন্দর্য্য।ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনীতি যখন সংকটময় মুহুর্ত অতিক্রম করছে। যখন ম্যার জন শোরের পর লর্ড মনিংটন অর্থ্যাৎলর্ড ওলেয়েসলী গভর্ণর জেনারেল হয়ে ভারতে আগমন করেন, ঠিক তখনই ফ্রান্সের সাথে ইংল্যান্ড এক মহাযুদ্ধে লিপ্ত হয়।নেপোলিয়ন বোনাপার্টের দিগি¦জয় এবং তার ভারত বিজয়ের কল্পনায় ইংল্যান্ড সস্ত্রস্ত; ভারতের পেশোয়া, সিদ্ধিয়া, হোলকার ও নিজাম

 

বাংলার বীর শমসের গাজী

বৃটিশ শাসনের আগে ভারতীয় উপমহাদেশে (তথা ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ) মুসলীম শাসকরাই রাষ্ট্র পরিচালনা করতেন।তাদের মধ্যে বাংলার বীর শমসের গাজী অন্যতম। তার জম্মস্থান ছিল ছগলনাইয়া (ফেনী) উপজেলার চম্পকনগরে। এই জম্মস্থানছিল বর্তমানে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পড়েছে। এখানে তার স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক সুরঙ্গ পথ, শমসের গাজী দিঘী, এবংতারই খনন করে তৈরী করা এক খোইল্লা দিঘীসহ প্রবেশ পথ, বসত ঘরের চিহ্ন হিসাবে পড়ে আছে। এটি ভারত ও বাংলাদেশসীমান্তবর্তী পাহাড়ে। শমসের গাজীর বসত ঘরের দঃ পূর্বে যে দিঘী রয়েছে তার নাম শমসের গাজী দিঘী। এই দিঘীতে তারস্ত্রী সহ গোসল করতেন। স্ত্রী ছিলেন পদা শীল। শমসের গাজী পর্দাকে পছন্দ করতেন । স্ত্রীর পর্দার জন্য এই সুরঙ্গপথটি তৈরি করেন। যাতে তার সৌন্দর্য্যরে প্রতি কারও দৃষ্টি না পড়ে। সে জন্য এ পথে দিঘীতে যাওয়া আসা করতেন।

 

শুভপুর ব্রীজ

 

ছাগলনাইয়ার প্রাচীন স্থাপত্য শিল্পের আরেকটি অন্যতম নিদর্শন ফেনী নদীর উপর নির্মিত শুভপুর ব্রীজ।১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের অনেক স্মৃতির সাথে জড়িত এই ব্রীজটি থেকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধকরেছিল অনেক বীরযোদ্ধা। এর চার পাশে রয়েছে অফুরন্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য।

ছাগলনাইয়া প্রকৃতির আরেক দর্শনীয় স্থান কৈয়ারা দিঘী। উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের দারোগার হাট বাজারের উত্তরেবিশাল এ দিঘী। এখানকার প্রচলিত এক প্রবাদেই সাক্ষ্য মিলে দিঘীর অবস্থা।

 

জগন্নাথ কালি মন্দির

 

শমসের গাজী তার বাল্যকালের লালন কর্তা জগন্নাথ সেনের স্মৃতিতে একটি মন্দির ও কালি মূর্তি নির্মাণ করেন।মূর্তিটি ছাগলনাইয়া উপজেলার শুভপুর বাসস্ট্যান্ড’র পূর্ব পার্শ্বে অবস্থিত। জগন্নাথ মূর্তির দর্শনীয় বিষয় হচ্ছে, এর দুইনেত্র প্রকোষ্ঠে বসানো লাল বর্ণের পাথর। অন্ধকারে পাথরগুলো আলো বিকিরণ করে। প্রতিদিন দুর-দুরান্ত থেকেদর্শনার্থীরা এটি দেখতে আসে।

 

শিলুয়ার শীল

 

সাবেক রতননগর পরগনার একস্থানে উনিশ শতকের একটি শিলা দেখা যায়।এই শিলাটি প্রাচীন কীতিগুলোর মধ্যে অন্যতম।এই শিলা থেকে ঐ স্থানের নামকরণ হয় শিলুয়া। এটি ছাগলনাইয়া হতে ৫-৬ মাইল পশ্চিমে কন্ট্রাক্টর মসজিদ বাজার হতেপ্রায় ৩ কিঃমিঃ দক্ষিণে মধ্যম শিলুয়া চৌধুরীবাজারের ৫০ গজ পশ্চিমে ও শিলুয়া চৌধুরী বাড়ীর পূর্ব পার্শ্বেছায়াসুনিবিড় স্থানে শীলটি অবস্থিত । ঐ স্থানটির চার পাশে লোহার পিলার ও কাটা তার দিয়ে ঘেরাও দেওয়া। এই স্থানেবৃক্ষরাজি ছায়াচ্ছন্ন স্থানে দর্শনার্থীদের বসার জন্য দুটি বেঞ্চ আছে। পাথরটি ত্রকটি টিন ও কাঠের চৌচালা ঘরদিয়ে আচ্ছাদিত।

দর্শনীয় স্থান

০১. সোনাগাজী মুহুরী সেচ প্রকল্পঃ

১৯৭৭-78 অর্থ বছরে শুরু হয়ে ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলায় ১৯৮৫-৮৬ অর্থ বছরে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই সেচ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ফেনী নদী, মুহুরী নদী এবংকালিদাস পাহালিয়া নদীর সম্মিলিত প্রবাহকে আড়ি বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে 40 ফোক্ট বিশিষ্ট একটি বৃহদাকার পানি নিয়ন্ত্রণ কাঠামো তৈরী করে ফেনী জেলার ফেনী সদর, ছাগলনাইয়া, পরশুরাম, ফুলগাজী, সোনাগাজী এবং চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলার কিয়দংশ এলাকায় বর্ষা মৌসুমে বন্যার প্রকোপ কমানো ও আমন ফসলে অতিরিক্ত সেচ সুবিধা প্রদানের উদ্দেশ্যে নির্মিত হয়েছিল মুহুরী সেচ প্রকল্প । সিডা, ইইসি, বিশ্বব্যাংকের অর্থ সহায়তায় জাপানের সিমুজু কোম্পানী 168 কোটি টাকা ব্যয়ে এই সেচ প্রকল্প নির্মাণ করে । এর ফলে ২০,১৯৪ হেক্টর এলাকায় সেচ সুবিধা এবং ২৭,১২৫ হেক্টর এলাকা সম্পুরক সেচ সুবিধার আওতায় আসে।মুহুরী সেচ প্রকল্পকে ঘিরে গত আড়াই দশকে গড়ে ওঠে বিনোদন ও পিকনিক স্পট । শীত মৌসুমে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দলে দলে ভ্রমণ পিপাসু লোক এবং পর্যটক বেড়াতে আসে । প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর মুহুরী রেগুলেটরের চারদিকে বাঁধ দিয়ে ঘেরা কৃত্রিম জলরাশি,বনায়ন,মাছের অভয়ারণ্য, পাখির কলকাকলি,বাঁধের দুপাশে নীচ থেকে পাথর দিয়ে বাঁধানো এবং উপরদিকে দুর্বা ঘাসের পরিপাটি বিছানা । মুহুরীর জলরাশিতে নৌভ্রমণের সময় খুব কাছ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির হাঁস এবং প্রায় ৫০ জাতের হাজার হাজার পাখির দেখা পাওয়া যায় ।

 দূরত্ব :   ফেনী   সদর হতে সোনাগাজী উপজেলা সদর পর্যন্ত দূরত্ব ২০কি.মি. এবং উপজেলা সদর হতে দশর্নীয় স্থান এর দূরত্ব ২০ কি.মি. অর্থাৎ ফেনী সদর হতে দর্শনীয় স্থানের দূরত্ব সর্বমোট ৪০কিমি.   

যাবার উপায় :

১)  ফেনী লালপোল হতে বাস যোগে (মিল্লাত পরিবহন, ফারাবি ট্রান্সপোর্ট,জয় পরিবহন, প্রতিশ্রুতি পরিবহন ইত্যাদি) ,  সোনাগাজী উপজেলা

     সদর পর্যন্ত

অত:পর সোনাগাজী উপজেলা সদর হতে বাস যোগে বাদামতলী পর্যন্ত

অত:পর বাদামতলী হতে রিক্সা যোগে দর্শনীয় স্থানে পৌঁছা যায়

অথবা ২) ফেনী মহিপাল মোড় হতে সিএনজি অটোরিক্সা যোগে দর্শনীয় স্থানে যাওয়া যায়

আবাসন  ব্যবস্থা:

১) পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডাক বাংলো (দর্শনীয় স্থান সংলগ্ন)

২) জেলা পরিষদ ডাক বাংলো (দর্শনীয় স্থান হতে ২০ কি.মি. দূরে উপজেলা সদরে অবস্থিত, সি,এন,জি অটো রিক্সা যোগে যাওয়া- আসা করা যায়)

৩) আবাসিক হোটেল – নাসির রেষ্টুরেন্ট এন্ড আবাসিক হোটেল, মোবাইল: ০১৮৩০১৬৭৬৯৬, (দর্শনীয় স্থান হতে ২০ কি.মি. দূরে উপজেলা সদরে অবস্থিত, সি,এন,জি অটো   রিক্সা যোগে যাওয়া-আসা করা যায় )

 

02.পাগলা মিঞাঁর মাজারঃ

     দরবেশ পাগলা মিঞাঁর প্রকৃত নাম ছিল সৈয়দ আমীর উদ্দিন(রঃ) । ১৮২৩ সালে ফাযিলপুর ছনুয়া গ্রামে তাঁর জন্ম হয় এবং ১৮৮৭ সালে মাত্র ৬৩ বছর বয়সে  মৃত্যুবরণ করেন । প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের প্রথম বৃহস্পতিবারে(তাঁর জন্মদিনে) তাঁর মাজারে ওরশ হয় । সেখানে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে হাজার হাজার লোক সমবেত হয় । তিনি আধুনিক ফেনী জনপদের মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর অপরিসীম প্রভাব রেখে গেছেন । তাঁর আধ্যাত্নিক শক্তি সম্পর্কে ফেনী অঞ্চলে বহু জনশ্রুতি প্রচলিত রয়েছে । এখনো প্রতিদিন তাঁর মাজারে মানুষ দলে দলে ফাতেহা পাঠ করে,জেয়ারত করে এবং ‘‘মানত’’করে ।

 

দূরত্ব : ফেনী রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে ১ কি. মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে বড় জামে মসজিদের পাশ ঘেষে তাকিয়া রোডে অবস্থিত এবং ফেনী জিরো পয়েন্ট হতে দর্শনীয় স্থানের দূরত্ব মোট 1/2কিমি. ।

যাবার উপায় :

১) ফেনী রেলওয়ে ষ্টেশন হতে সিএনজি অটোরিক্সা যোগে দর্শনীয় স্থানে যাওয়া যায়, রিক্সা যোগেও যাওয়া যায়

2)ফেনী জিরো পয়েন্ট হতে রিক্সা যোগে যাওয়া যায়

 

আবাসন ব্যবস্থাঃ

১) ফেনী সার্কিট হাউস(দর্শনীয় স্থান সংলগ্ন)

২) জেলা পরিষদ ডাক বাংলো (দর্শনীয় স্থান হতে ৩ কিলোমিটার দূরে মিজান রোডে অবস্থিত, রিক্সা বা সিএনজি অটো রিক্সা যোগে যাওয়া -আসা  করা যায়

৩) এলজিইডি রেস্ট  হাউস(দর্শনীয় স্থান হতে 0৪ কিলোমিটার দূরে ফেনী কুমিল্লা রোডের পাশে  অবস্থিত, রিক্সা বা সিএনজি অটো রিক্সা যোগে যাওয়া-আসা করা যায়)

৪) পানি উন্নয়ন বোর্ডের রেস্ট হাউস(দর্শনীয় স্থান হতে ২ কিলোমিটার দূরে এস,এস,কে রোডের পাশে অবস্থিত, রিক্সা বা সিএনজি অটো রিক্সা যোগে যাওয়া -আসা করা যায়)

৫) পল্লী বিদ্যু সমিতির রেস্ট হাউস,মহিপাল মোড় হতে প্রায় ১.৫ কি:মি: দক্ষিণে হাইওয়ের পাশে অবস্থিত।(দর্শনীয় স্থান হতে ৪ কিলোমিটার  দূরে ফেনী কুমিল্লা রোডের পাশে  অবস্থিত, রিক্সা বা সিএনজি অটো রিক্সা যোগে  যাওয়া আসা করা যায়)

৬) হোটেল মিড নাইট,জহিরিয়া মসজিদ মার্কেট,এস,এস,কে রোড  আলাপনিঃ ০৩৩১-৬২২২৩ / ০১৭৩৩-৫৮৫৯৫৬ (দর্শনীয় স্থান হতে ২ কিলোমিটার দূরে এস,এস,কে রোডের পাশে  অবস্থিত, রিক্সা বা সিএনজি অটো রিক্সা যোগে যাওয়া- আসা করা যায়)

৭) হোটেল গাজী ইন্টরন্যাশনাল,এস,এস,কে রোড,ফেনী , আলাপনিঃ ০৩৩১-৬২৪১৫/ ০১৭১১- ১২৩৪৫৪/ ০১৭১৪-২৬৭৩০৫ (দর্শনীয় স্থান হতে ২ কিলোমিটার দূরে এস,এস,কে রোডের পাশে অবস্থিত, রিক্সা বা সিএনজি অটো রিক্সা যোগে যাওয়া –আসা করা যায়)

 

03.শিলুয়ার শীল পাথরঃ

     ফেনীর পূর্বভাগে ছাগলনাইয়া উপজেলায় শিলুয়া গ্রামে রয়েছে এক প্রাচীন ঐতিহাসিক শিলামূর্তির ধ্বংসাবশেষ । শিলামুর্তির গায়ে খৃষ্টপূর্ব দ্বিতীয় অব্দে প্রচলিত ব্রাক্ষ্মী হরফের লিপি থেকে এখানে আর্য সভ্যতা বিকাশের প্রমাণ পাওয়া যায় । ব্রিটিশ আমল থেকে এ প্রাচীন ঐতিহাসিক স্মৃতি চিহ্নটি প্রত্নতাত্ত্বিক সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী সংরক্ষিত রয়েছে ।

 

 

 

দূরত্ব : ফেনী সদর হতে ছাগলনাইয়ার দূরত্ব ১৮ কি.মি. , উপজেলা সদর হতে দশর্নীয় স্থান এর দূরত্ব ০৯ কি.মি.  অর্থাৎ ফেনী সদর হতে দর্শনীয় স্থানের দূরত্ব সর্বমোট ২৭ কিমি. ।

যাবার উপায় :

১) ফেনী সদর হতে সিএনজি অটোরিক্সা যোগে দর্শনীয় স্থানে যাওয়া যায়।

* ফেনী সদর হতে ছাগলনাইয়া পর্যন্ত কোন বাস চলে না।

আবাসন    :

১) জেলা পরিষদ ডাক বাংলো (দর্শনীয় স্থান হতে ৯ কি.মি. দূরে উপজেলা সদরে অবস্থিত ,সি,এন,জি অটো রিক্সা যোগে যাওয়া আসা করা যায়)

২) আবাসিক হোটেল -"হোটেল আসিফ", যোগাযোগ-জামাল উদ্দিন,(ম্যানেজার) মোবাইল নং-01923219403, (দর্শনীয় স্থান হতে ৯ কি.মি. দূরে উপজেলা সদরে অবস্থিত ,সি,এন,জি অটো রিক্সা যোগে যাওয়া আসা করা যায়)

 

 

০৪. রাজাঝীর দীঘিঃ

ফেনী শহরের জিরো পয়েন্টে এ দিঘীর অবস্থান । জনশ্রুতি আছে ত্রিপুরা মহারাজের প্রভাবশালী একজন রাজার কন্যার অন্ধত্ব দুর করার মানসে প্রায় ৫/৭ শত বছর পূর্বে এ দীঘি খনন করা হয় বলে । স্থানীয় ভাষায় কন্যা-কে ঝি বলা হয় । ১৮৭৫ সালে ফেনী  মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হলে  তার সদর দপ্তর গড়ে তোলা হয় এই রাজাঝির দীঘির পাড়ে । দীঘির পাড়ে বর্তমানে ফেনী সদর থানা, ফেনী কোর্ট মসজিদ,অফিসার্স ক্লাব,জেলা পরিষদ পরিচালিত শিশু পার্ক সহ ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন গড়ে উঠেছে ।  মোট ১০.৩২ একর আয়তন বিশিষ্ট এ দীঘিটি ফেনীর ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থানের একটি ।

  

দূরত্ব ঃ   রাজাঝির দীঘির অবস্থান ফেনী শহরের প্রাণকেন্দ্র জিরো পয়েন্ট ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন 

যাবার উপায়ঃ

১) রেলওয়ে স্টেশন থেকে রিক্সা যোগে যাওয়া যায়

২) মহিপাল বাস ষ্ট্যান্ড থেকে রিক্সা যোগে এবং সিএনজি যোগে  যাওয়া-আসা করা যায়

আবাসন ব্যবস্থাঃ

১) ফেনী সার্কিট হাউস(দর্শনীয় স্থান সংলগ্ন)

২) জেলা পরিষদ ডাক বাংলো (দর্শনীয় স্থান হতে ১ কিলোমিটার দূরে মিজান রোডে অবস্থিত, রিক্সা বা সিএনজি অটো রিক্সা যোগে যাওয়া -আসা করা যায়)

৩) এলজিইডি রেস্ট হাউস (দর্শনীয় স্থান হতে ৩ কিলোমিটার দূরে ফেনী কুমিল্লা রোডের পাশে অবস্থিত, রিক্সা বা সিএনজি অটো রিক্সা যোগে যাওয়া- আসা  করা যায়)

৪) পানি উন্নয়ন বোর্ডের রেস্ট হাউস (দর্শনীয় স্থান হতে ২ কিলোমিটার দূরে এস,এস,কে রোডের পাশে অবস্থিত, রিক্সা বা সিএনজি অটো রিক্সা যোগে যাওয়া- আসা করা যায়)

৫) পল্লী বিদ্যু সমিতির রেস্ট হাউস,মহিপাল মোড় হতে প্রায় ১কি:মি: দক্ষিণে হাইওয়ের পাশে অবস্থিত। (দর্শনীয় স্থান হতে 04 কিলোমিটার দূরে ফেনী কুমিল্লা রোডের পাশে  অবস্থিত, রিক্সা বা সিএনজি অটো রিক্সা যোগে যাওয়া-আসা করা যায়)

৬)  হোটেল মিড নাইট,জহিরিয়া মসজিদ মার্কেট,এস,এস,কে রোড,  আলাপনিঃ ০৩৩১-৬২২২৩ / ০১৭৩৩-৫৮৫৯৫৬ (দর্শনীয় স্থান হতে ১ কিলোমিটার দূরে এস,এস,কে রোডের পাশে  অবস্থিত, রিক্সা বা সিএনজি অটো রিক্সা যোগে যাওয়া- আসা করা যায়)

৭)  হোটেল গাজী ইন্টারন্যাশনাল,এস,এস,কে রোড,ফেনী , আলাপনিঃ ০৩৩১-৬২৪১৫/ ০১৭১১-১২৩৪৫৪/ ০১৭১৪-২৬৭৩০৫ (দর্শনীয় স্থান হতে ১ কিলোমিটার দূরে এস,এস,কে রোডের পাশে অবস্থিত, রিক্সা বা সিএনজি অটো রিক্সা যোগে যাওয়া- আসা করা যায়)

 

০৫. বিজয় সিংহ দীঘিঃ

বাংলার বিখ্যাত সেন বংশের প্রতিষ্ঠাতা বিজয় সেনের অমর কীর্তি এ বিজয় সিংহ দীঘি । এ দীঘি ফেনী শহরের প্রায় ২ কিঃমিঃ পশ্চিমে বিজয় সিংহ গ্রামে ফেনী সার্কিট হাউজের সামনে অবস্থিত। এ দীঘির আয়তন ৩৭.৫৭ একর। অত্যন্ত মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থিত এ দিঘীর চৌপাড় খুব উঁচু ও বৃক্ষশোভিত । ১৯৯৫ সালে ফেনীর প্রাক্তন জেলা প্রশাসক জনাব এ,এইচ,এম নূরুল ইসলাম প্রচুর বৃক্ষ চারা রোপন করে বর্তমান এ পরিবেশের সৃষ্টি করেন ।ফেনীর ঐতিহ্যবাহী দিঘীর মধ্যে বিজয় সিংহ দীঘি অন্যতম । এ দিঘী দেখার জন্য জেলার এবং দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিনিয়ত দর্শনার্থীরা আসে ।

 

 

দূরত্বঃ১) ফেনী  ট্রাংক রোড জিরো পয়েন্ট থেকে  ৩ কিলোমিটার  পশ্চিমে ।

যাবার উপায়ঃ

১) ট্রাংক রোড জিরো পয়েন্ট কিংম্বা রেলওয়ে স্টেশন থেকে সিএনজি যোগে যাওয়া যায় (ভাড়া আনুমানিক- ৫০.০০টাকা)

২) রিক্সা যোগে মহিপাল ট্রাফিক পয়েন্ট হয়ে দক্ষিন- পশ্চিম দিকে  সার্কিট হাউজ রোড দিয়ে যেতে হবে, (ভাড়া আনুমানিক -১৫.০০ টাকা )

 

আবাসন ব্যবস্থাঃ

১) ফেনী সার্কিট হাউস(দর্শনীয় স্থান সংলগ্ন)

২) জেলা পরিষদ ডাক বাংলো (দর্শনীয় স্থান হতে ৩ কিলোমিটার দূরে মিজান রোডে অবস্থিত, রিক্সা বা সিএনজি অটো রিক্সা যোগে যাওয়া-আসা করা যায়)

৩) এলজিইডি রেস্ট হাউস (দর্শনীয় স্থান হতে 0৪ কিলোমিটার দূরে ফেনী কুমিল্লা রোডের পাশে  অবস্থিত, রিক্সা বা সিএনজি অটো রিক্সা যোগে যাওয়া- আসা করা যায়)

৪) পানি উন্নয়ন বোর্ডের রেস্ট হাউস (দর্শনীয় স্থান হতে ২ কিলোমিটার দূরে এস,এস,কে রোডের পাশে অবস্থিত, রিক্সা বা সিএনজি অটো রিক্সা যোগে যাওয়া- আসা করা যায়)

৫) পল্লী বিদ্যু সমিতির রেস্ট হাউস,মহিপাল মোড় হতে প্রায় ১.৫ কি:মি: দক্ষিণে হাইওয়ের পাশে অবস্থিত।(দর্শনীয় স্থান হতে ৪ কিলোমিটার  দূরে ফেনী কুমিল্লা রোডের পাশে  অবস্থিত, রিক্সা বা সিএনজি অটো রিক্সা যোগে যাওয়া- আসা করা যায়)

৬) হোটেল মিড নাইট,জহিরিয়া মসজিদ মার্কেট,এস,এস,কে রোড  আলাপনিঃ ০৩৩১-৬২২২৩ / ০১৭৩৩-৫৮৫৯৫৬ (দর্শনীয় স্থান হতে ২ কিলোমিটার দূরে এস,এস,কে রোডের পাশে  অবস্থিত, রিক্সা বা সিএনজি অটো রিক্সা যোগে যাওয়া -আসা করা যায়)

৭) হোটেল গাজী ইন্টরন্যাশনাল,এস,এস,কে রোড,ফেনী , আলাপনিঃ ০৩৩১-৬২৪১৫/ ০১৭১১-১২৩৪৫৪/ ০১৭১৪-২৬৭৩০৫ (দর্শনীয় স্থান হতে ২ কিলোমিটার দূরে এস,এস,কে রোডের পাশে অবস্থিত, রিক্সা বা সিএনজি অটো রিক্সা যোগে যাওয়া- আসা করা যায়)

 

 

 

জেলার ঐতিহ্য

১)জগন্নাথ কালী মন্দিরঃছাগলনাইয়া উপজেলায় অবস্থিত। শসসের গাজী তার বাল্যকালে লালন কর্তা জগন্নাথ সেনের স্মৃতিতে এ মন্দির ও কালী মূর্তি নির্মাণ করেন।

 

 

 

 

0২). চাঁদ খাঁ মসজিদঃ মোগল আমলের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ছিলেন চাঁদ গাজী ভূঞা। তার নামানুসারে ছাগলনাইয়া উপজেলা সদরের অদূরে চাঁদগাজী বাজার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। চাঁদগাজী বাজারের কাছে মাটিয়া গোধা গ্রামে অতীত ইতিহাসের সাক্ষীহিসাবে অবস্থান করছে চাঁদগাজী ভূঞা মসজিদ। মধ্যযুগের রীতি অনুযায়ী চুন, সুড়কী ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইট দ্বারা তৈরী এ মসজিদের দেয়ালগুলো বেশ চওড়া।মসজিদের ছাদের উপর রয়েছে তিনটি সুদৃশ্য গম্বুজ । মসজিদের সামনে একটি কালো পাথরের নামফলকে এ মসজিদের নির্মানকাল ১১১২ হিজরী সনউল্লিখিত আছে ।

 

 

 

০৩) চারশত বছরের প্রাচীন কড়ই গাছ:তৎকালীন মহকুমা প্রশাসক কবি নবীন চন্দ্র সেন এই গাছের ছায়ায় বসে কবিতা লিখতেন ।

 

 

 

 

 

 

 

 

০৪)ফেনী সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়:১৮৮৬ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত।

 

 

 

05)গান্ধী আশ্রমঃ

নতুন মুন্সিরহাট বাজারে অবস্থিত গান্ধী আশ্রম ট্রাষ্ট এর একটি টিন সেড ঘর আছে । ঘরের ভিতর প্রশিক্ষনের সরঞ্জাম সংরক্ষিত আছে । গান্ধী আশ্রম ট্রাষ্টের বিভিন্ন কাগজপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় ,মহাত্মা গান্ধী তাঁর জীবদ্দশায় ১৯২১ সালের ৩১ আগষ্ট ফেনীতে আগমন করেন এবং রেলওয়ে স্টেশনের বাইরে সভা করেন । ঐদিন ফুলগাজী উপজেলার নতুন মুন্সিরহাট (সাবেক বীরেন্দ্রগঞ্জ বাজার) এর খাদি প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করেন । স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিনি সশরীরে বর্তমান আশ্রমের স্থানে ছিলেন ।

 

 

 

 

০৬. শমসের গাজীর দীঘিঃ

শমসের গাজী তার মাতা কৈয়ারা বেগমের নামে এ দীঘি খনন করেন। এ দীঘি ছাগলনাইয়া উপজেলা সদরের নিকটবর্তী কোনাপুর গ্রামে অবস্থিত। ৪.৩৬ একর আয়তনের এ দীঘির ১/৩ ভাগ ভারতীয় অংশে পড়েছে। ফেনী সদর হতে ছাগলনাইয়ার দূরত্ব ১৮ কি.মি. ।  ফেনী সদর হতে সিএনজি অটোরিক্সা যোগে এখানে যাওয়া যায় (ভাড়া আনুমানিক-১২০/=টাকা)।

* ফেনী সদর হতে ছাগলনাইয়া পর্যন্ত কোন বাস চলে না।